আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৯ ঘটিকায় গোবরা ইউনিয়নে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন প্রস্তুতি ও দিকনির্দেশনামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন গোবরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান সফিকুর রহমান চৌধুরী। এবার গোবরা ইউনিয়নে মোট ১০টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন পূজা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ ও অত্র ইউনিয়ন পরিষদের সচিব এবং গ্রাম-পুলিশগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমূ গৃহীত হয়।
শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে গোবরা ইউনিয়নের প্রতিটি পূজা উদযাপন কমিটির পালনীয় কর্তব্য সমুহ-
১। প্রতি মন্ডপে ঢোকার এবং বের হবার দুটি আলাদা পথ থাকতে হবে।
২। পুরুষ এবং মহিলাদের আলাদা চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে ।
৩। নিজস্ব জেনারেটরের ব্যাবস্থা করতে হবে অথবা মন্দিরে দেওয়া সোলার বাতির দুইটা বাতি মন্ডপের বাইরে পূজা চলাকালীন আলাদা জায়গায় স্থাপন করতে হবে ।
৪। রাত বারটার পর মাইক বা ডেক বাজানো যাবে না।
৫। নিজস্ব আস্থাবান যুবকদের সমন্বয়ে এগার সদস্য বিশিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী এবং সরকার নির্দেশিত অসাম্প্রদায়িক শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি গঠন করতে হবে।
৬। প্রতি স্বেচ্ছাসেবককে পূজাকমিটির স্বাক্ষরিত আইডি কার্ড দিতে হবে।
৭। প্রতি ওয়াক্ত নামাজের জন্য আজানের সময় থেকে যোহর-৩০ মিনিট, আসর -১৫ মিনিট, মাগরিব -১৫ মিনিট এবং এশা-২০ এভাবে মন্ডপের মাইক বন্ধ রাখতে হবে।
৮। শান্তি রক্ষায় নিয়োজিত আনসার সদস্যদের থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
৯। অশ্লীল কোন ধরনের অনুষ্ঠান করা যাবে না।
১০। পুলিশ কন্ট্রোল রুম, ফায়ার ব্রিগেড, হাসপাতাল এবং বিদ্যুৎ বিভাগের জরুরী নম্বরগুলি বড় করে লিখে মন্ডপের বাইরে টানিয়ে রাখতে হবে।
১১। প্রতিটি মন্ডপে প্রতিমা পাহাড়া দেওয়ার জন্য আলাদাভাবে চৌকস কিছু স্বেচ্ছাসেবক চব্বিশ ঘন্টার জন্য নিয়োজিত রাখতে হবে।
১২। সন্দেহজনক কোন লোককে ঘোরাফেরা করতে দেখলে সাথে সাথে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা সদস্য/ইউপি চেয়ারম্যান/পুলিশ/ উপজেলা প্রশাসনের নজরে আনতে হবে
১৩। আনন্দ উৎসবের নামে পূজামন্ডপের আসপাশে কোথাও কোনপ্রকার বাজি/পটকা ফোটানো যাবেনা কাউকে কোন ধরনের খেলনা চাকু/নজর কাড়ে এমন কোন প্যাকেট বহন করতে দেওয়া যাবে না। এছাড়া বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি নির্দেশিত শর্তাবলী পালনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস